ঢিলেমি টাইপের মানুষদেরকে বোরহান উদ্দিন সাহেব ততটা পছন্দ করেন না। হোসেন আলী মাস্টার কিছুটা সেই কিছিমের মানুষ। যারা বাংলা পড়ান এবং গল্প-কবিতা লেখেন তারা একটু উদাসীনও হয়। হোসেন আলী মাস্টারের মধ্যে সেই বৈশিষ্ট্য থাকায় তিনি ঐ বিশেষণেরও অধিকারী হয়েছেন। তারপরও বোরহান উদ্দিন সাহেব বর্তমান কাজটার জন্য হোসেন আলী সাহেবকে সহযোগী হিসেবে নিয়েছেন। কারণ স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে তিনিই শুধু সাহিত্য চর্চা করেন। প্রকাশনার বিষয়ে তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে জন্যই এই কাজটা সম্পন্ন করতে হোসেন আলী সাহেবের এই উদাসীনতাটুকু তিনি মেনে নিয়েছেন।
চায়ের কাপ হাতে নিয়ে খবরের কাগজে চোখ বুলাতে বুলাতে বোরহান উদ্দিন সাহেব হোসেন আলী সাহেবের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। পঁচিশ বছর যাবৎ তিনি আনন্দপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এই দীর্ঘ সময়ে হোসেন আলী সাহেব স্কুলের সাহিত্য সাময়িকী বের করার সময় প্রতিবারই লেখা দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু দেয়া হয় না। কাল্পনিক গল্প-কবিতা লিখতে বা পড়তে তার কোনো সময় আগ্রহ জন্মায়নি। তবে মাঝে মধ্যে দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণামুলক প্রবন্ধ লিখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু সেটা মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের উপযোগী হবে না ভেবে নিজের থেকে ততটা তাগিদ উপলব্ধি করেন না। তাছাড়া তথাকথিত আবেগী কবিতা বা কল্পিত গল্প সমাজের কোনো কাজে আসে না বলে তিনি মনে করেন। আর স্কুলের সাময়িকীতে লিখতে হলে শিশুতোষ মন নিয়ে লিখতে হবে। তাই আর লেখা হয়ে উঠে না।
গত দেড় বছর আগে তিনি ভেবেছিলেন একটা বই লিখবেন। তবে তা অবশ্যই কবিতা, গল্প বা উপন্যাস নয়। এমন একটি বই লিখবেন যা সমাজের বা জাতির কাজে আসবে। সেই বইটা হবে বাঙালী জাতির অবহেলিত কিছু কীর্তিমান মানুষদের নিয়ে, যারা দেশের জন্য অনেক কিছু করেও কোনো স্বীকৃতি বা সম্মান পাননি। লেখনীর মাধ্যমে সেইসব মানুষের জীবনের কথা এই সমাজের কাছে তুলে ধরে তাদেরকে কিছুটা হলেও সম্মানজনক কাতারে নিয়ে আসার চেষ্টা থাকবে। এমন উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি "ইতিহাসে ঠাঁই হয়নি যাদের" শিরোনামে একটা বই লিখতে শুরু করেছিলেন। বইটা তথ্যভিত্তিক হওয়ায় বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে প্রায় দেড় বছর পার করে অবশেষে কাজ শেষের দিকে। এখন শুধু ছাপার কাজটাই বাকি। সে কারণেই বোরহান উদ্দিন সাহেবের মনটা অন্য দিনের তুলনায় আজ বেশ হালকা। বইটার কাজ শেষ করতে পারায় মাথা থেকে একটা বিশাল বোঝা যেন নেমে গেছে। কাজের চাপ না থাকায় এই সুযোগটুকুই কাজে লাগিয়ে আজ হোসেন আলী সাহেব আসতে দেরি করছেন। আজ হোসেন আলী সাহেবকে আসতে বলার উদ্দেশ্য হলো- বই হাতে পাওয়ার পর কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোঁছানো যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু হোসেন আলী সাহেবের উদাসীনতার জন্য একা একাই চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে সময় পার করতে হচ্ছে।
যারা দেশ ও ভাষার জন্য জীবনের অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন অথচ সামান্যতম সম্মান পাননি, ইতিহাসের কোথাও যাদের নাম আসেনি এমন অবহেলিত দশ জন মানুষের জীবনের কথাই লিপিবদ্ধ করেছেন বইটাতে। কাজটা সম্পন্ন করতে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়েছে। তাদের কেউ কেউ মারাও গেছেন, কেউ কেউ নিখোঁজ হয়েছেন। এমন মানুষদের কীর্তি ও প্রামাণ্য তথ্য সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কষ্ট হলেও মনের দিক থেকে খুব ভালো লেগেছে এই জন্য যে, অন্তত কিছুটা হলেও এই বইয়ের মাধ্যমে তাদেরকে সম্মান জানানো যাবে। তাঁরা সম্মান পাওয়ার অধিকার রাখেন। তাদের সেই অধিকারটুকু পাইয়ে দেয়া এ প্রজন্মের দায়িত্ব বলে মনে করেন তিনি। ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম না থাকুক অন্তত এই বইয়ে তারা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হোসেন আলী সাহেব সারাজীবন আকাশ-বাতাস, নদী-নালা নিয়ে কল্পনা করে কবিতা লিখে সময় পার করেছেন, এবার অন্তত একটা ভালো লেখায় সময় দিয়েছেন। কিন্তু বইয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলেই কি এখন ঢিল দিতে হবে? এক ঘন্টা আগে তার এখানে আসার কথা। এখনো আসেননি।
হোসেন আলী সাহেবের আরেকটি বদ অভ্যাস আছে। কিছু কিছু প্রশ্ন বার বার করেন। "স্যার বিয়ে করলেন না কেন?" এই প্রশ্নটা যে কতবার করেছেন তার হিসেব নেই। তবে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে তিনি বেশ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। হুট করে প্রশ্নটা করেন না। অন্যান্য শিক্ষকেরা যেখানে দরকারী কাজেও প্রধান শিক্ষকের সামনে এসে খোলাসা করে কথা বলতে সাহস করেন না সেখানে হোসেন আলী সাহেব আলাপচারিতার মাঝে প্রসঙ্গ তৈরি করে সুযোগমত কথাগুলো পেশ করেন। কোনো গাম্ভীর্যপূর্ণ মুহুর্তে এই প্রশ্নটা করেন না। তবে তিনি এই প্রশ্নটা কয়েকবার করলেও কোনো সময় উত্তর দেয়া হয়নি। তাকে বলা হয়েছিল নিরিবিলি এক সময় বিষয়টা নিয়ে গল্প করবেন। আজও পর্যন্ত সেই নিরিবিলিটুকু হয়ে উঠেনি।
দরজা খোলার শব্দে খবরের কাগজ থেকে চোখ তুলে সেদিকে তাকিয়ে দেখেন হোসেন আলী সাহেব ঢুকছেন। - আসসালামু আলাইকুম স্যার। - ওয়ালাইকুমুস সালাম।
সালামের উত্তরে হোসেন আলী সাহেব বুঝে গেছেন আজ প্রধান শিক্ষকের মনটা ফ্রেস আছে। কোনো কাজের মধ্যে থাকলে তিনি মুখে কথা না বলে মাথা ঠুকে জবাব দেন। যেদিন মাথা ঠুকে জবাব দেন সেদিন হোসেনে আলী সাহেব অতি প্রয়োজনীয় কথা ছাড়া বাড়তি কোনো কথা তোলেন না। তাতে তার বিরক্তিভাজন হতে হয়। স্কুলের অনেক শিক্ষকই না বুঝে এমনটা করে বসেন। তাই তারা হেড স্যারকে রক্ষ মেজাজী বলেই জানেন।
বোরহান উদ্দিন সাহেব খবরের কাগজটা হোসেন আলী সাহেবের দিকে এগিয়ে দিয়ে শরবত প্রায় চায়ে ঠোট ভেজালেন। হোসেন আলী সাহেব কিছুক্ষণ খবরের কাগজে মনোনিবেশ করে চোখ তুলে বললেন- - ইন্টারেস্টিং একটা খবর! পড়েছেন স্যার? "পঞ্চাশ বছর বয়সে বিয়ে"। বোরহান উদ্দিন সাহেব খবরটা আগেই পড়েছেন কিন্তু এটা নিয়ে কথা বলা সমীচীন মনে করছেন না। কারণ এটা নিয়ে কথা বললে প্রসঙ্গ ধরে হোসেন আলী সাহেব এখনই হয়তো বলে বসবেন "স্যার বিয়ে করলেন না কেন?" তার চেয়ে প্রসঙ্গ পাল্টানো ভালো। তাই জরুরী একটা বিষয়ের অবতার জন্য বললেন- - প্রকাশনীর আজাদ ভাইকে তাগিদ না দিলে কিন্তু বইটা ছাপাতে গড়িমসি করবেন। ওনার সাথে একবার দেখা করা দরকার। হোসেন আলী সাহেব প্রধান শিক্ষকের কথাটা শুনেও পূর্ব প্রসঙ্গটায় বহাল তবিয়তে থেকে বললেন- - স্যার আপনার বিয়ে না করার কথাটা কিন্তু আজও বলেননি। আজ বলেন না স্যার। আজ তো কোনো কাজের চাপ নেই। বোরহান উদ্দিন সাহেব বুঝতে পারছেন হোসেন আলী সাহেব আজ একটু জোর করেই ধরেছেন। - আসলে এটা বলার মত তেমন কোনো ঘটনা নয়। এটা শুনেও আপনার কোনো লাভ হবে না। - স্যার, সব কিছুতে লাভ-লোকসান হিসেব করা মনে হয় ঠিক না। অবশ্য আপনার যদি আপত্তি থাকে তাহলে থাক। - না, আপত্তি নেই তবে আমার যেন ওসব ভুলে যেতে ইচ্ছে করে তাই আর টেনে তুলতে ভালো লাগে না। এত করেই যখন বলছেন শুনুন তাহলে। আমি বিয়ে করেনি তা নয়, বিয়ে করেছিলাম কিন্তু টেকেনি। দেড় বছরের মাথায় আমরা আলাদা হয়ে গেছি।
কথাটা বলে বোরহান উদ্দিন সাহেব একটু থামলেন। কিছুটা বিমর্ষ দেখাচ্ছে তাকে। হোসেন আলী সাহেব তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। - স্যার, আলাদা হয়েছিলেন মানে তালাক হয়েছিল? - না, তালাক নয়। ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। আমাদের বিয়ে হয়েছিল সত্তর এর শেষের দিকে। ভালোভাবেই চলছিল আমাদের সংসার। একাত্তরের জুলাইয়ের এক রাতে আমাদের বাসায় পাকবাহিনীর লোকেরা ঢোকে। জিনিস-পত্র সব তছনছ করে দেয়। আমাকে অনেক মারে। তারপর আমার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যায়। বাঁধা দেওয়ার মত শক্তি ছিল না আমার। পরে তার আর খোঁজ পায়নি। হোসেন আলী সাহেব অবাক হয়ে শুনছিলেন কথাগুলো। - স্যার, আর কোনোদিন কি তার খোঁজ পাননি। - পেয়েছিলাম। না পেলেই বোধহয় ভালো হতো। স্বাধীনের দুই মাস পর সে এসেছিল। তাকে দেখে চেনার উপায় ছিল না। কোমল ত্বক পুড়ে কয়লা হয়ে গিয়েছিল। ফুলের মত নিষ্পাপ মানুষটাকে ক্ষত বিক্ষত মূর্তির মত দেখাচ্ছিল। বেশ কিছুক্ষণ থামলেন বোরহান উদ্দিন সাহেব। হোসেন আলী সাহেব নীরব শ্রোতার মত তাকিয়ে রইলেন তার মুখের দিকে। গল্পটাকে আবারও গতিময় করতে বললেন- - তারপর? - ওইদিন রাতটুকু ছিল। পরের দিন সকালে চলে গিয়েছিল। তারপর আর কোনো খোঁজখবর নেই।
আবারও থামলেন। হোসেন আলী সাহেব এবার আর কোন কথা বলছেন না। ভাবছেন, নিশ্চয় পরিবারের সদস্যদের বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে ভাবী চলে গেছেন। তাকে রাখতে সেদিন বোরহান উদ্দিন সাহেবও কোনো ভূমিকা রেখেছিলেন বলে মনে হয় না। তাই জানতে ইচ্ছে করলেও মুখ ফুটে বলতে চাইছেন না যে, আপনি তাকে বাঁধা দেননি?। বোরহান উদ্দিন সাহেব নিজে থেকে আবার বলতে শুরু করলেন- - ক্ষুধার্ত শেয়াল-কুকুরের মতই নরপশুরা ইচ্ছেমত চুষে খেয়েছে তাকে। - স্যার, এতে তার কি কোনো দোষ ছিল? - তার কোনো দোষের কথা আমি বলিনি। কিন্তু আমাদের সমাজের চোখে একজন গৃহবধু হিসেবে.....। আমি তাকে অনেক ভালোবাসতাম। তাকে যদি ভালো না বাসতাম তবে আর বিয়ে না করে এভাবে জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারতাম না।
হোসেন আলী সাহেব ভাবুক মনে বসে রইলেন। মনে মনে বোঝার চেষ্টা করছেন- যাকে ঘরে আশ্রয় দেয়া যায় না তার জন্য একাকী জীবন পার করলে তার কি কোনো লাভ হবে? বোরহান উদ্দিন সাহেব আনমনা হোসেন আলী সাহেবের দিকে তাকিয়ে দরকারী আলাপে আসার তাগিদ দিয়ে বলেন- - থাক এসব কথা। এটা নিয়ে বেশি সময় নষ্ট না করে আমরা বরং আমাদের বইটাকে নিয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা শুরু করি। কথাটা শেষ করে বোরহান উদ্দিন সাহেব পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য কাগজ-কলম নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। হোসেন আলী সাহেব তখনও আনমনা হয়ে বসে আছেন। চোখ মেলে বোরহান উদ্দিন সাহেবের দিকে তাকালেন। তিনি ব্যস্ত; মহৎ ব্যক্তিদের নিয়েই ব্যস্ত। সতীত্ব হারানো একজন মহিলাকে নিয়ে ভেবে অযথা সময় নষ্ট করার ইচ্ছে নেই তার।”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মৃন্ময় মিজান
অল্প কথায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রসংগে আলোকপাত করেছেন। গল্প নয় যেন বাস্তব । সামাজিক কিছু বোধ আছে যেগুলোকে মাঝে মাঝে লাত্থি মারতে ইচ্ছে করে। আপনার গল্পের প্রতি ভাললাগা জানবেন।
মোঃ শামছুল আরেফিন
শেষ হইয়াও হইলনা শেষ। রবীন্দ্রনাথ এভাবেই সংজ্ঞায়িত করেছিলেন ছোটগল্পকে। মনির মুকুল ভাইয়ার গল্পে সার্থকতা এখানেই। আরও অনেক জানার আগ্রহ থেকে গেল। মাত্র দুটি চরিত্র দিয়ে কত সুন্দর করে সাজানো পরিপাটি গল্প। খুব ভাল লেগেছে আমার। গল্পে হোসেন আলীর চরিত্রটি অসাধারনভাবে ফুটে উঠেছে।
সালেহ মাহমুদ
- যাকে ঘরে আশ্রয় দেয়া যায় না তার জন্য একাকী জীবন পার করলে তার কি কোনো লাভ হবে?///////// অসাধারণ ডায়লগ। পুরো গল্পটি অসম্ভব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
পাঁচ হাজার
কিছু ব্যাপার প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই বদ্ধমূল এবং এখনও সমান তালে চলছে সেগুলো। তেমনই একটা ঘটনা হলো সংগম। পরকীয়া বলি আর রেপ বলি জানলেই মানতে অস্বস্তি না জানলে কোন ক্ষোভ নেই। আপনার গল্প প্রথমদিকে ততটা সরস লাগেনি যতটা আবেগ শেষে পেয়েছি। ভাল হয়েছে
মারুফ মুস্তাফা আযাদ
মুকুল ভাই, লেখার সাহিত্যগুন নিয়ে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নাই, নিঃসন্দেহে ভালো লেখা। কিন্তু বোরহান উদ্দিনের মানসিকতার লোকগুলি দেখলে আমার গায়ে আগুন ধরে যায়।সে তার স্ত্রীকে জাতীয় স্বীকৃতি দিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দিল (যেজন্য পরে আর খোজ নেয়ার প্রয়োজন মনে করেন নাই), আর মহৎ মহৎ করে লোক দেখানো চিৎকার করে। অথচ একজন মহতী নারীকে স্বীকার করার মত সাহস নাই। কাপুরুষ!!!!! আবারো বলি, ভালো লিখেছেন ভাই। এদের একটু চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন।
তানি হক
অসাধারণ লিখেছেন ভাইয়া ..সত্তি আমাদের সমাজে এমন মহান মানুষের অভাব নেই ..যারা মহানতার মানেই বোঝেনা ...আপনাকে ধন্যবাদ এমন সাহসী গল্প লিখার জন্য ...সুভেচ্ছা ও সালাম রইলো
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।